KHAN HOMOEO HALL

হোমিওপ্যাথি:

ইংরেজি হোমিওপ্যাথি শব্দটি গ্রীক শব্দ (হোমিওপ্যাথিয়া ) Homoeopathia – homoios like, patho feeling   হতে উৎপন্ন। ইহার বাক্যগত অর্থ সদৃশ্য লক্ষণ দৃষ্টে চিকিৎসা বা সদৃশ্য বিধান চিকিৎসা। কোন  সুস্থ শরীরে কোন ঔষধ প্রয়োগ করিলে কতগুলি লক্ষণ প্রকাশ পাইতে দেখা যায়, সেইরূপ লক্ষণ কোন পীড়িত ব্যক্তির শরীরে প্রকাশ পাইতে দেখা গেলে তাকে ঐ লক্ষণ সৃষ্টিকারি ঔষধ দ্বারা নিরাময় করা হয়।

মহাত্মা হ্যানিম্যান এই চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপক।

হোমিওপ্যাথির মুলতত্ত্ব: 

১। শরীরে কতিপয় কষ্টদায়ক লক্ষণ আবির্ভাব হলেই তাকে আমরা রোগ বলে থাকি অর্থাৎ লক্ষণসমষ্টিই রোগ বলে পরিচিত ।

২। শুধুমাত্র সুস্থ দেহে প্রয়োগ ও পরীক্ষণ এর মাধ্যমেই ঔষুধের আরোগ্যকারী শক্তি নির্ধারণ করা হয় ।

৩। রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণসমূহ এবং ঔষুধ পরীক্ষিত ব্যক্তির লক্ষণসমূহ এক থাকার কারণে হ্যানিম্যানের “সিমিলিয়া সিমিলিবাস্ কিউরান্টর” নিয়মে রোগ আরোগ্য হয়।

৪। শুধুমাত্র একটি ঔষুধই রোগ আরোগ্যার্থে নির্বাচিত হওয়া উচিত। দুই বা ততোধিক  ঔষধ একসাথে মিশ্রিত করিয়া কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়।

৫। হোমিওপ্যাথিতে কোন উপাদান শরীরের যে লক্ষণ সৃষ্টি করে সেই লক্ষণ সুস্থ শরীরে দেখা দিলে তাহা ওই উপাদানের সূক্ষ্ম মাত্রায় সেবনিয়।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় তিনটি নিয়ম বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়।

১। “সিমিলিয়া সিমিলিবাস্ কিউরান্টর” মতে ঔষধের ব্যবস্থা করা।

২। রোগ নিরাময়ের জন্য, অল্প মাত্রায় ঔষধের ব্যবস্থা।

৩। কোন ঔষধ প্রথম মাত্রায় উপকার হলে এবং উপকার বিদ্যমান থাকলে সেই ঔষধের দ্বিতীয় মাত্রা প্রয়োগ করা যাবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
Category
Consultation
0
Cart
Account
Scroll to Top